আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনের মুলতবি ঘোষণা করেছেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মুলতবি ঘোষণার সময় তিনি বলেন, আমাদের দ্বিতীয় অধিবেশন শুধুমাত্র কাউন্সিলরদের জন্য। আমাদের এই কমিটি বিলুপ্ত হয়ে যাবে। নতুন কমিটি গঠন হবে।
তার জন্য নির্বাচন কমিশনও আমরা গঠন করেছি। সেই নির্বাচন কমিশন বসবে এবং নাম প্রস্তাব হবে এবং সেখানে নতুন নেতৃত্ব আসবে। মুখে হাসি নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আজ থেকে আমাদের বিদায়, নতুন নেতৃত্ব আসুক সেটাই আমি চাই।
এর আগে ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, ’৯৬ সালের নির্বাচনে খালেদা জিয়া ভোট চুরি করে নিজেকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু কারও ভোট চুরি করলে বাংলাদেশের মানুষ তা মেনে নেয় না।
এদেশের মানুষ মেনে নেয়নি। তখন গণঅভ্যুথান হয়েছিল, আন্দোলন হয়েছিল। খালেদা জিয়া ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনে জয়ী হয়েছিল আর ৩০ মার্চ পদত্যাগে বাধ্য হয়েছিল।
তিনি বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য ২০০১-এ আমরা সরকারে আসতে পারিনি। কেন পারিনি সেটা অনেকবার বলেছি, আর বলতে চাই না। কিন্তু বাংলাদেশের এতটুকু স্বার্থ আমার জীবন থাকতে নষ্ট হবে না। কারও হাতে তুলে দেব না।
এ সময় করতালি দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া এ বক্তব্যকে স্বাগত জানান উপস্থিত সবাই।
শেখ হাসিনা বলেন, পরপর তিনবার আমরা ক্ষমতায়। আর এই ক্ষমতায় আছি বলেই আজকে বাংলাদেশকে আমরা উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছি। যেখানেই বাংলাদেশের বাজেট হতো মাত্র ৬২ হাজার কোটি টাকার, সেখানে এই ২২-২৩ অর্থবছরে আওয়ামী লীগ বাজেট দিয়েছে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা।
তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস মোকাবিলা করে বিশেষ প্রণোদনা দিয়েও আমরা এ বাজেট দিতে সক্ষম হয়েছি। আমরা এই কয় বছরে প্রবৃদ্ধির হার বৃদ্ধি করেছিলাম। যেখানে জাতির পিতা যুদ্ধবিধ্বস্ব দেশে প্রবৃদ্ধি ৯ শতাংশে ওঠাতে সক্ষম হয়েছিলেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।